রিজিক (সুস্থ জীবনধারণের উপকরণ) নিয়ে মানুষের চিন্তা চিরকালীন। অনেকে দুশ্চিন্তায় ভোগে, কেউ অবৈধ পথে রিজিক কামাতে চায়। অথচ ইসলাম আমাদের শেখায়—রিজিক নির্ধারিত, তবে চেষ্টা, ধৈর্য ও তাওয়াক্কুল থাকতে হবে।
এই ব্লগে আমরা এমন কিছু সংক্ষিপ্ত অথচ গভীর স্ট্যাটাস উপস্থাপন করব, যা কুরআন-হাদিসের আলোকে রিজিক সম্পর্কে আমাদের মনোভাবকে শুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করবে।
📌 রিজিক নিয়ে ইসলামিক স্ট্যাটাস (বাংলা)
✅ ১.
“তুমি যতক্ষণ জীবিত, তোমার রিজিকও ততক্ষণ জীবিত। রিজিক খুঁজতে গিয়ে নিজের ঈমান হারিয়ে ফেলো না।”
✅ ২.
“রিজিক কখনো দেরি করে, কিন্তু ভুলে যায় না। কারণ যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন, তিনিই তোমার জীবিকার দায়িত্ব নিয়েছেন।”
✅ ৩.
“হারাম পথে রিজিক দ্রুত আসে, কিন্তু সে নিয়ে আসে বরকতের অভাব ও আখিরাতের ধ্বংস।”
✅ ৪.
“পাখিরা সকালে খালি পেটে বের হয়, সন্ধ্যায় পেট ভরে ফিরে আসে। শুধু চেষ্টা করে, দুশ্চিন্তা করে না।”
— (হাদিস)
✅ ৫.
“তুমি যদি আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করো, তবে রিজিক তোমার কাছে ঠিকই আসবে; যেভাবে শিশু মায়ের দুধ পায়।”
✅ ৬.
“হালাল রিজিক ধীর গতির হলেও, তা শান্তি ও বরকতের বাহক। হারাম রিজিক তাৎক্ষণিক আনন্দ, কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী বিষাদ।”
✅ ৭.
“তুমি যা হারাও, তা ছিল না তোমার রিজিক। আর যা পাও, তা থেকে কেউ তোমাকে বঞ্চিত করতে পারে না।”
✅ ৮.
“রিজিক শুধু টাকা নয়—সুস্থতা, শান্তি, নেক সন্তান, হালাল সময়—সবই রিজিক।”
✅ ৯.
“আল্লাহ কখনো বান্দার রিজিক বন্ধ করেন না, কিন্তু তিনি কখনো কখনো পরীক্ষা নেন—আমরা ধৈর্য ধরি কিনা।”
✅ ১০.
“রিজিক দান করার মালিক মানুষ নয়, একমাত্র আল্লাহ। তাই মানুষের সামনে ছোট হয়ো না, রবের সামনে হাত তুলো।”
🌱 রিজিক নিয়ে কিছু কুরআনিক অনুপ্রেরণা
“নিশ্চয়ই আল্লাহই রিজিকদাতা, শক্তিশালী ও দৃঢ়।”
— (সূরা যারিয়াত ৫১:৫৮)
“যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্য পথ করে দেন এবং এমন জায়গা থেকে রিজিক দেন, যা সে কল্পনাও করতে পারে না।”
— (সূরা তালাক ৬৫:২-৩)
🌸 শেষ কথা
রিজিক নিয়ে দুশ্চিন্তা নয়—বরং হালাল পথে চেষ্টা, ধৈর্য এবং আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল—এই তিনটি গুণেই রিজিকে বরকত হয়। পৃথিবীর কোনো কিছু তোমার রিজিক বন্ধ করতে পারে না, যদি তুমি নিজেকে হারাম থেকে বাঁচিয়ে রাখো।